ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

মানুষ ভালবাসার জন্য পাগল এর জন্য তারা জীবন দিতেও প্রস্তুত এটি হচ্ছে মানব জীবনের সবচাইতে সুন্দর একটি অনুভূতি যা জীবনকে সুখী এবং সুন্দর করে তোলে আমরা আমাদের ভালোবাসার মানুষের জন্য দর্শকের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত বিশ্বের প্রতিটি মানুষই কোন না কোন বিষয়ে রোমান্টিক এবং সে তার ভালোবাসার মানুষের জন্য যেকোনো কিছু করতে প্রস্তুত তেমনি আপনি চাইলে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে কিছু রোমান্টিক কবিতার মাধ্যমে মুগ্ধ করে দিতে পারেন আমরা অনেকেই ইন্টারনেটে ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা খুঁজে বেড়ায় তাই আজকে আমরা আপনাদের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বাছাইকৃত বেশ কয়েকটি রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ করেছি আপনারা চাইলে আজকের এই পোস্ট থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে সংগ্রহ করতে পারবেন

ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা কে না পছন্দ করে। তাই আজকের পোষ্টে আপনাদের সামনে আমি কিছু ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি।  আশা করি সকল কবিতা গুলো আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।  আপনি  চাইলে আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে এই কবিতাগুলো এসএমএস আকারে পাঠাতে পারেন।  আশা করি আপনার ভালবাসার মানুষের সকল কবিতাগুলো অনেক পছন্দ হবে।  দয়াকরে কবিতাগুলো পাঠ করুন এবং নিচের কমেন্ট বক্সে জানান কবিতা গুলো কেমন হয়েছে।  কোন মতামত থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে জানাবেন।

ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা

এখানে আমরা আপনাদের জন্য আমাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা গুলো সংগ্রহ করেছি।  এখান থেকে আপনি প্রায় ২০  টির মতো রোমান্টিক কবিতা পাবেন।  কবিতা গুলো কপি করে আপনি আপনার প্রিয়জনের কাছে পাঠাতে পারেন।  কবিতাগুলো আপনার প্রিয়তমা কেমন লেগেছে তা আমাদেরকে জানাতে ভুলবেন না।  তো চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক আজকের ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা (০১)

প্রিয়তমা
      লিখেছেনঃ সাকিসেফ উম্মে ফাতেমা

হাসির ঝঙ্কার তোর মুগ্ধতা ছড়াই
শতগুনে তোর করা সাজে বড়াই
কঙ্কন তোর যখন তোলে ঝঙ্কার-
হৃদয় আমার যেন তৃষ্ণিত কঙ্কার।

আমি তোর রূপে মজে থাকি
কল্পনাতে শুধু তোর ছবি আঁকি,
কন্ঠ যেন তোর তোলে কলতান
গিটারেতে তুলি সুর, বাধি কিছু গান।

দৃষ্টি যেন তোর বিধে হৃদয়ে
নিজেকে খুঁজে ফিরি যেন হারিয়ে,
তোর পদধ্বনি বারায় হৃদকম্পন
অনুভূতি লুকাতে মোর কত না যতন।

প্রিয়তমা, সত্যি বলছি শোন
তোকে চাই আমার আজীবন,
ফিরিয়ে দিসনা আমায় আজ
হৃদয়ে তোর আমি করতে চাই রাজ।

ভালোবাসি আমি তোকে প্রাণাধিক
সুখে রাখবো আমি তোকে ঠিক,
বাড়িয়ে দে প্রিয়া হাত,
তোর সামনে আমি কিস্তিমাত।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা (০২)

প্রেমের কবিতা :

একদিন দেখেছিলাম সুন্দর এক স্বপ্ন,
নদীর তীরে আমরা বসেছিলাম মগ্ন !
যখন তুমি ধরেছিলে আমার হাত-
পুষ্পসম প্রস্ফুটিত হয়েছিল প্রভাত !
কানে কানে বলেছিলে চুপি চুপি-
মৃদু বাতাস করেনি কোন কারচুপি !
আমার হৃদয়ে লেগেছিল এক সাড়া-
তুমিই আমার অন্তরে দিয়েছিলে নাড়া !
তোমার জন্য ফুল তুলতে চাইলাম একটি,
তখন শুরু হয়ে গেল মুশল ধারে বৃষ্টি !
আমি তোমাকে বলেছিলাম, ‘এস প্রিয়তম !’
লজ্জা পেয়ে তুমি হয়েছিলে অবনত !
আমার জীবনে তুমি দিয়ে দিয়েছো দোলা
আমার জীবনে যদিও ছিল কত ঝামেলা !
তোমাকে কত ভালবাসি, এটা রেখ স্মরণ,
তোমার তরে হাসিমুখে মৃত্যু করবো বরণ।

আমাদের ভূবনে থাকবে না কোন বেদনা,
থাকবে না কোন বিরহ আর দেনা-পাওনা !
তোমাকে ছেড়ে আমি কখনও দূরে যাবোনা,
তোমার ব্যাপারে আমি পিছপাও হবোনা !
ঢেকে রাখবো তোমায় দিয়ে সব ভালবাসা,
প্রমাণ করতে পারি, তুমিই আমার আশা !
আমার জীবনে তুমি এনে দিলে পরিবর্তন,
তোমার জন্য আমার সব! এটা রেখ স্মরণ !
তোমার হৃদয়ের মাঝে আমায় দিও আসন,
তুমিই আমার ভালবাসা, তুমিই আমার ভুবন

ভালোবাসা মানে দুজনের পাগলামি,
পরস্পরকে হৃদয়ের কাছে টানা;
ভালোবাসা মানে জীবনের ঝুঁকি নেয়া,
বিরহ-বালুতে খালিপায়ে হাঁটাহাঁটি;
ভালোবাসা মানে একে অপরের প্রতি খুব করে ঝুঁকে থাকা;
ভালোবাসা মানে ব্যাপক বৃষ্টি,
বৃষ্টির একটানা ভিতরে-বাহিরে দুজনের হেঁটে যাওয়া;
ভালোবাসা মানে ঠাণ্ডা কফির পেয়ালা সামনে অবিরল কথা বলা;
ভালোবাসা মানে শেষ হয়ে-যাওয়া কথার পরেও মুখোমুখি বসে থাকা।

একটা পৃথিবী চাই আমার দিবে ?
সেখানে শুধু থাকবে, তুমি মানবী
ভাসবে না তোমার মনে আমার ছাড়া
আর কারো প্রতিচ্ছবি ।
একটা আকাশ চাই, পারবে দিতে তুমি ?
সেখানে উড়বে শুধু তোমাকে ঘিরে আমার স্বপ্ন ঘুড়ি ।
সেই বাতাস চাই, দাও আমায়
যে শুধু বয়ে বেড়াবে একটি ধ্বনি “ভালোবাসি তোমাকে আমি”
না থাকবে না তার কোন প্রতিধ্বনি
সব কিছুই হবে, যদি একবার বল আমার ভালোবাসায় জীবন সাজাবে তুমি
অন্তরের অন্তরাল থেকে বলবে কি তুমি ?
আমার ভালোবাসায় জড়াতে রাজি তুমি !

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা (০৩)

বিবাহিতাকে
         – জয় গোস্বামী

কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, তুমি আমার সামনে দাড়ালেই আমি
তোমার ভিতরে একটা বুনো ঝোপ দেখতে পাই।
ওই ঝোপে একটা মৃতদেহ ঢাকা দেওয়া আছে।
অনেকদিন ধ’রে আছে। কিন্তু আশ্চর্য যে
এই মৃতদেহ জল, বাতাস, রৌদ্র ও সকলপ্রকার
কীট-বীজাণুকে প্রতিরোধ করতে পারে। এরপচন নেই।
বন্য প্রাণীরাও এর কাছে ঘেঁষে না।
রাতে আলো বেরোয় এর গা থেকে।
আমি জানি, মৃতদেহটা আমার।
কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে, এই জারিজুরি এবার ফাঁস হওয়া প্রয়োজন।
আর তা হবেও, যেদিন চার পায়ে গুঁড়ি মেরেগিয়ে
পা কামড়ে ধ’রে, ওটাকে, ঝোপ থেকে
টেনে বার করব আমি।

কবিতা (০৪)

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে
                      – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে ,
আছো তুমি হৃদয় জুড়ে।

ঢেকে রাখে যেমন কুসুম, পাপড়ির আবডালে ফসলের ঘুম।
তেমনি তোমার নিবিঢ় চলা, মরমের মূল পথ ধরে।

পুষে রাখে যেমন ঝিনুক , খোলসের আবরণে মুক্তোর সুখ।
তেমনি তোমার গভীর ছোঁয়া, ভিতরের নীল বন্দরে।

ভাল আছি ভাল থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো।
দিয়ো তোমার মালাখানি, বাউলের এই মনটারে।
আমার ভিতরে বাহিরে………

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা  (০৫)

প্রেমিক
   – জয় গোস্বামী

তুমি আমাকে মেঘ ডাকবার যে বইটা দিয়েছিলে একদিন
আজ খুলতেই দেখি তার মধ্যে এক কোমর জল।
পরের পাতায় গিয়ে সে এক নদীর অংশ হয়ে দূরে বেঁকে
গেছে।

আমাকে তুমি উদ্ভিদ ভরা যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে এক পা-ও এগোনো যাচ্ছে না, এত জঙ্গল।
গাছগুলো এত বড় হয়েছে যে মাটিতে আলো আসতে
দিচ্ছে না।

তুমি আমাকে ঝর্ণা শেখবার যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে মস্ত এক জলপ্রপাত লাফিয়ে পড়ছে
সারাদিন।

এমনকি তোমার দেওয়া পেজ-মার্কের সাদা পালকটাও
যে বইতে রেখেছিলাম, সেখানে আজ
কত সব পাখি উড়ছে, বসছে, সাঁতার কাটছে।
তোমার দেওয়া সব বই এখন মরুভূমি আর পর্বতমালা,
সব বই আজ সূর্য, সব বই দিগন্ত …

অথচ আজকেই যে আমার লাইব্রেরি দেখতে আসছে বন্ধুরা
আমার পড়াশোনা আছে কিনা জানার জন্য! তাদের আমি
কী দেখাবো? তাদের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো আমি!

তুমি আমাকে ঝর্ণা শেখবার যে বইটা দিয়েছিলে
আজ সেখানে মস্ত এক জলপ্রপাত লাফিয়ে পড়ছে
সারাদিন।

এমনকি তোমার দেওয়া পেজ-মার্কের সাদা পালকটাও
যে বইতে রেখেছিলাম, সেখানে আজ
কত সব পাখি উড়ছে, বসছে, সাঁতার কাটছে।
তোমার দেওয়া সব বই এখন মরুভূমি আর পর্বতমালা,
সব বই আজ সূর্য, সব বই দিগন্ত …

অথচ আজকেই যে আমার লাইব্রেরি দেখতে আসছে বন্ধুরা
আমার পড়াশোনা আছে কিনা জানার জন্য! তাদের আমি
কী দেখাবো? তাদের সামনে কোন মুখে দাঁড়াবো আমি!

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা (০৬)

ছন্দরীতি
    – মহাদেব সাহা

তোমাদের কথায় কথায় এতো ব্যকরণ
তোমাদের উঠতে বসতে এতো অভিধান,
কিন্তু চঞ্চল ঝর্ণার কোনো ব্যাকরণ নেই
আকাশের কোনো অভিধান নেই, সমুদ্রের নেই।
ভালোবাসা ব্যাকরণ মানে না কখনো
হৃদয়ের চেয়ে বড়ো কোনো সংবিধান নেই
হৃদয় যা পারে তা জাতিসঙ্ঘ পারে না
গোলাপ ফোটে না কোনো ব্যাকরণ বুঝে।
প্রেমিক কি ছন্দ পড়ে সম্বোধন করে?
নদী চিরছন্দময়, কিন্তু সে কি ছন্দ কিছু জানে,
পাখি গান করে কোন ব্যাকরণ মেনে?
তোমারাই বলো শুধু ব্যাকরণ, শুধু অভিধান!
বলো প্রেমের কি শুদ্ধ বই, শুদ্ধ ব্যাকরণ
কেউ কি কখনো সঠিক বানান খোঁজে প্রেমের চিঠিতে
কেউ কি জানতে চায় প্রেমালাপ স্বরে না মাত্রায়?
নীরব চুম্বনই জানি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ছন্দরীতি।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা (০৭)

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
              – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে,
হৃদয় তোমারে পায় না জানিতে
হৃদয়ে রয়েছ গোপনে।

বাসনা বসে মন অবিরত,
ধায় দশ দিশে পাগলের মতো।
স্থির আঁখি তুমি ক্ষরণে শতত
জাগিছ শয়নে স্বপনে।

সবাই ছেড়েছে নাই যার কেহ
তুমি আছ তার আছে তব কেহ
নিরাশ্রয় জন পথ যার যেও
সেও আছে তব ভবনে।

তুমি ছাড়া কেহ সাথি নাই আর
সমুখে অনন্ত জীবন বিস্তার,
কাল পারাপার করিতেছ পার
কেহ নাহি জানে কেমনে।

জানি শুধু তুমি আছ তাই আছি
তুমি প্রাণময় তাই আমি বাঁচি,
যতো পাই তোমায় আরো ততো যাচি
যতো জানি ততো জানি নে।

জানি আমি তোমায় পাবো নিরন্তন
লোক লোকান্তরে যুগ যুগান্তর
তুমি আর আমি, মাঝে কেহ নাই
কোনো বাঁধা নাই ভুবনে।

নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে
রয়েছ নয়নে নয়নে।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা (০৮)

একবার ভালোবেসে দেখো
                – মহাদেব সাহা

তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো আর
এই মুখে কবিতা ফুটবে না,
এই কণ্ঠ আবৃতি করবে না কোনো প্রিয় পঙ্‌ক্তিমালা
তাহলে শুকিয়ে যাবে সব আবেগের নদী।
আমি আর পারবো না লিখতে তাহলে
অনবদ্য একটি চরণ, একটিও ইমেজ হবে না রচিত,
তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো তবে
কবিতার পান্ডুলিপি জুড়ে দেখা দেবে ঘুরে ঘুরে অনাবৃষ্টি, খরা।
তুমি যদি না তাকাও এই চোখ দেখবে না কিছু
উজ্জ্বল আলোর ভোর ঘন অন্ধকারে ঢেকে যাবে,
সন্ধ্যাতারা মনে হবে মৃত নিষ্পলক চোখ
যদি ফিরে না তাকাও মর্মে আর পল্লবিত হবে না কবিতা।
তুমি যদি না দাও চুম্বন এই মুখে ফুটবে না ভাষা
মরা গাঙে জাগবে না ঢেউ, দুই তীরে প্রাণের স্পন্দন,
হবে না শস্যের মাঠে শ্রাবণের ব্যাপক বর্ষণ
হৃদয়ে হৃদয়ে আর অঙ্কুরিত হবে না কবিতা, বাজবে না গান।
তুমি যদি আমাকে না ভালোবাসো আর
প্রকৃতই আমি আগের মতন পারবো না লিখতে কবিতা
আমার আঙুলে আর খেলবে না জাদুর ঝিলিক,
এই শাদা পৃষ্ঠা জুড়ে ফুটবে না জুঁই আর চাঁপা।
একবার ভালোবেসে দেখো, একবার কাছে ডেকে দেখো
আবার আগের মতো কীভাবে ফুটাই এক লক্ষ একটি গোলাপ
অনায়াসে কীভাবে আবার অনুভূতি করি সঞ্চারিত,
একবার ভালোসেবে দেখো আবার কীভাবে লিখি দুহাতে কবিতা।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

কবিতা (০৯)

প্রেমিক জনের চিঠি 
                      – শ্রীজাত

ওই কথা কি এভাবে কেউ বলতে পারে?
হঠাৎ করে, সিড়ির বাঁকে, অন্ধকারে

নিশ্বাস নাক গন্ধ পোহায়, চনমিয়া…
ঘুপচি মতাে মুঠোর ভেতর একলা টিয়া

ছটফটাচ্ছে দেখতে পাচ্ছি। চাই না উড়ান?
ঠাকুর ঘরের চাল থেকে পাহাড়চূড়া?

ঠোটের উপর ঘাম মুছে নাও। ডাকছে নীচে।
নখের ঘরে কেটেছে হাত, ওষুধ মিছে।

বুকটুকুনির ওঠানামায় ধুকপুকুনি
জড়িয়ে নেওয়ার মন হলে কে ছাড়ত শুনি?

কিন্তু এখন সবটা ইচ্ছে করছে না যে
হয়তো হঠাৎ উড়ে টিয়া, ভিড়ের মাঝে…

এইটুকু তো অতৃপ্তি দাও প্রেমিক জনে,
একটা চুমু না-খাওয়া থাক, এই জীবনে!

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১০)

একটি মেয়ের জন্য
              – রুদ্র গোস্বামী

একা ফুটপাথ
আলো ককটেল
ভিজে নাগরিক রাত পদ্য।

তুই হেঁটে যাস
কাঁচ কুয়াশায়
জল ভ্রূণ ভাঙা চাঁদ সদ্য।

আমি প্রশ্ন
তুই বিস্ময়
চোখ চশমার নীচে বন্ধ।

ঠোঁট নির্বাক
চাওয়া বন্য
আমি ভুলে যাই দ্বিধা দ্বন্দ্ব।

জাগা রাত্রি
ঘুম পস্তায়
মোড়া রূপকথা পিচ রাস্তা

পোষা স্বপ্ন
ছিঁড়ে ছারখার
প্রিয় রিংটোন লাগে সস্তা।

তুই সত্যি
আরও সত্যি
তুই শিশিরের কুঁড়ি পদ্ম।

বাকি মিথ্যে
সব মিথ্যে
চেনা চার দেয়ালের গদ্য।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১১)

গোপন প্রিয়া
– কাজী নজরুল ইসলাম

পাইনি ব’লে আজো তোমায় বাসছি ভালো, রাণি,
মধ্যে সাগর, এ-পার ও-পার করছি কানাকানি!
আমি এ-পার, তুমি ও-পার,
মধ্যে কাঁদে বাধার পাথার
ও-পার হ’তে ছায়া-তরু দাও তুমি হাত্‌ছানি,
আমি মরু, পাইনে তোমার ছায়ার ছোঁওয়াখানি।

নাম-শোনা দুই বন্ধু মোরা, হয়নি পরিচয়!
আমার বুকে কাঁদছে আশা, তোমার বুকে ভয়!
এই-পারী ঢেউ বাদল-বায়ে
আছড়ে পড়ে তোমার পায়ে,
আমার ঢেউ-এর দোলায় তোমার ক’রলো না কূল ক্ষয়,
কূল ভেঙেছে আমার ধারে-তোমার ধারে নয়!

চেনার বন্ধু, পেলাম না ক’ জানার অবসর।
গানের পাখী ব’সেছিলাম দু’দিন শাখার’ পর।
গান ফুরালো যাব যবে
গানের কথাই মনে রবে,
পাখী তখন থাকবো না ক’-থাকবে পাখীর ঘর,
উড়ব আমি,-কাঁদবে তুমি ব্যথার বালুচর!

তোমার পারে বাজল কখন আমার পারের ঢেউ,
অজানিতা! কেউ জানে না, জানবে না ক’ কেউ।
উড়তে গিয়ে পাখা হ’তে
একটি পালক প’ড়লে পথে
ভুলে’ প্রিয় তুলে যেন খোঁপায় গুঁজে নেও!
ভয় কি সখি? আপনি তুমি ফেলবে খুলে এ-ও!

বর্ষা-ঝরা এমনি প্রাতে আমার মত কি
ঝুরবে তুমি একলা মনে, বনের কেতকী?
মনের মনে নিশীথ-রাতে
চুমু দেবে কি কল্পনাতে?
স্বপ্ন দেখে উঠবে জেগে, ভাববে কত কি!
মেঘের সাথে কাঁদবে তুমি, আমার চাতকী!

দূরের প্রিয়া! পাইনি তোমায় তাই এ কাঁদন-রোল!
কূল মেলে না,-তাই দরিয়ায় উঠতেছে ঢেউ-দোল!
তোমায় পেলে থামত বাঁশী,
আসত মরণ সর্বনাশী।
পাইনি ক’ তাই ভ’রে আছে আমার বুকের কোল।
বেণুর হিয়া শূন্য ব’লে উঠবে বাঁশীর বোল।

বন্ধু, তুমি হাতের-কাছের সাথের-সাথী নও,
দূরে যত রও এ হিয়ার তত নিকট হও।
থাকবে তুমি ছায়ার সাথে
মায়ার মত চাঁদনী রাতে!
যত গোপন তত মধুর-নাই বা কথা কও!
শয়ন-সাথে রও না তুমি নয়ন-পাতে রও!

ওগো আমার আড়াল-থাকা ওগো স্বপন-চোর!
তুমি আছ আমি আছি এই তো খুশি মোর।
কোথায় আছ কেমনে রাণি
কাজ কি খোঁজে, নাই বা জানি!
ভালোবাসি এই আনন্দে আপনি আছি ভোর!
চাই না জাগা, থাকুক চোখে এমনি ঘুমের ঘোর!

রাত্রে যখন এক্‌লা শোব-চাইবে তোমার বুক,
নিবিড়-ঘন হবে যখন একলা থাকার দুখ,
দুখের সুরায় মস্ত্‌ হ’য়ে
থাকবে এ-প্রাণ তোমায় ল’য়ে,
কল্পনাতে আঁকব তোমার চাঁদ-চুয়ানো মুখ!
ঘুমে জাগায় জড়িয়ে র’বে, সেই তো চরম সুখ!

গাইব আমি, দূরের থেকে শুনবে তুমি গান।
থামবে আমি-গান গাওয়াবে তোমার অভিমান!
শিল্পী আমি, আমি কবি,
তুমি আমার আঁকা ছবি,
আমার লেখা কাব্য তুমি, আমার রচা গান।
চাইব না ক’, পরান ভ’রে ক’রে যাব দান।

তোমার বুকে স্থান কোথা গো এ দূর-বিরহীর,
কাজ কি জেনে?- তল কেবা পায় অতল জলধির।
গোপন তুমি আসলে নেমে
কাব্যে আমার, আমার প্রেমে,
এই-সে সুখে থাকবে বেঁচে, কাজ কি দেখে তীর?
দূরের পাখী-গান গেয়ে যাই, না-ই বাঁধিলাম নীড়!

বিদায় যেদিন নেবো সেদিন নাই-বা পেলাম দান,
মনে আমায় ক’রবে না ক’-সেই তো মনে স্থান!
যে-দিন আমায় ভুলতে গিয়ে
করবে মনে, সে-দিন প্রিয়ে
ভোলার মাঝে উঠবে বেঁচে, সেই তো আমার প্রাণ!
নাই বা পেলাম, চেয়ে গেলাম, গেলে গেলাম গান!

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১২)

 তোমার চোখ এতো লাল কেন?
                            – নির্মলেন্দু গুণ

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে , আমি চাই
কেউ একজন আমার জন্য অপেক্ষা করুক,
শুধু ঘরের ভেতর থেকে দরোজা খুলে দেবার জন্য ।
বাইরে থেকে দরোজা খুলতে খুলতে আমি এখন ক্লান্ত ।

আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ আমাকে খেতে দিক । আমি হাতপাখা নিয়ে
কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ
নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী -সেবার দায় থেকে ।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক :
আমার জল লাগবে কি না, নুন লাগবে কি না,
পাটশাক ভাজার সঙ্গে আরও একটা
তেলে ভাজা শুকনো মরিচ লাগবে কি না ।
এঁটো বাসন, গেঞ্জি-রুমাল আমি নিজেই ধুতে পারি ।

আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই
কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা
খুলে দিক । কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক ।
কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে
জিজ্ঞেস করুক : ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন ?’

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১৩)

একবার তুমি 
     –  শক্তি চট্টোপাধ্যায়

একবার তুমি ভালোবাসতে চেষ্টা কর–
দেখবে, নদির ভিতরে, মাছের বুক থেকে পাথর ঝরে পড়ছে
পাথর পাথর পাথর আর নদী-সমুদ্রের জল
নীল পাথর লাল হচ্ছে, লাল পাথর নীল
একবার তুমি ভাল বাসতে চেষ্টা কর ।

বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল–ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়
সমস্ত পায়ে-হাঁটা পথই যখন পিচ্ছিল, তখন ওই পাথরের পাল একের পর এক বিছিয়ে
যেন কবিতার নগ্ন ব্যবহার, যেন ঢেউ, যেন কুমোরটুলির সলমা-চুমকি-জরি-মাখা প্রতিমা
বহুদূর হেমন্তের পাঁশুটেনক্ষত্রের দরোজা পর্যন্ত দেখে আসতে পারি ।

বুকের ভেতরে কিছু পাথর থাকা ভাল
চিঠি-পত্রের বাক্স বলতে তো কিছু নেই–পাথরের ফাঁক-ফোকরে রেখে এলেই কাজ হাসিল–
অনেক সময় তো ঘর গড়তেও মন চায় ।

মাছের বুকের পাথর ক্রমেই আমাদের বুকে এসে জায়গা করে নিচ্ছে
আমাদের সবই দরকার । আমরা ঘরবাড়ি গড়বো–সভ্যতার একটা স্থায়ী স্তম্ভ তুলে ধরবো ।

রূপোলি মাছ পাথর ঝরাতে-ঝরাতে চলে গেলে
একবার তুমি ভালবাসতে চেষ্টা করো ।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১৪)

যদি বাসোই 
       – তসলিমা নাসরিন

তুমি যদি ভালোই বাসো আমাকে, ভালোই যদি বাসো,
তবে বলছো না কেন যে ভালো বাসো! কেন সব্বাইকে জানিয়ে দিচ্ছ না যে ভালোবাসো!
আমার কানের কাছেই যত তোমার দুঃসাহস!

যদি ভালোবাসো, ওই জুঁইফুলটি কেন জানে না যে ভালোবাসো!
ফুলটির দিকে এত যে চেয়ে রইলাম, আমাকে একবারও তো বললো না যে ভালোবাসো!
এ কীরকম ভালোবাসা গো! কেবল আমার সামনেই নাচো!
এরকম তো দুয়োর বন্ধ করে চুপি চুপি তুমি যে কারও সামনেই নাচতে পারো।
আমি আর বিশ্বাস করছি না, যতই বলো।
আগে আমাকে পাখিরা বলুক, গাছেরা গাছের পাতারা ফুলেরা বলুক,
আকাশ বলুক, মেঘ বৃষ্টি বলুক, রোদ বলুক চাঁদের আলো বলুক, নক্ষত্ররা বলুক,
পাড়া পড়শি বলুক, হাট বাজারের লোক বলুক, পুকুরঘাট বলুক, পুকুরের জল বলুক যে
তুমি ভালোবাসো আমাকে!
শুনতে শুনতে যখন আর তিষ্ঠোতে না পারবো তখন তোমাকে ওই চৌরাস্তায় তুলে একশ
লোককে দেখিয়ে চুমু খাবো, যা হয় হবে।

ভালোবাসা কি গোপন করার জিনিস! দেখিয়ে দেখিয়েই তো
শুনিয়ে শুনিয়েই তো ভালোবাসতে হয়।
ভালোবাসা নিয়ে আমরা জাঁকালো উৎসব করবো, ধেই ধেই নাচবো, নাচাবো,
সুখবর বুঝি আমরা চারদিকে ঢোল বাজিয়ে জানিয়ে দিই না!
জুইঁফুলটি যেদিন বলবে যে তুমি আমাকে ভালোবাসো, সেদিনই কিন্তু তোমাকে বলবো যে
তোমাকেও বাসি, তার আগে একটুও নয় !

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১৫)

 তুমি 
    – রাজদ্বীপ দত্ত

যখন আঁধারেরা নামে,
তোমার প্রতিক্ষার শোকগাথায়-
তখন আমি অর্ধনিমগ্ন ।
গলা চিপা ঘুপচি আঁধারে
স্মৃতির জাবর কাটি ।
ওই জনাকীর্ণ নিস্তব্ধতায়
তুমি মনে রেখো আমায় ।
আলোময় ওই বিশাল গোলকধাধায় হয়তো হারাবো
কিন্তু তুমি মনে রেখো আমায় ।
আবার যখন নিভে যাবে আলো ;
যখন ওই অলস আলোটাকে-
বুভুক্ষের মতো গিলবে আঁধার
“রাতজাগা পাখি”,
তুমি ভুলে যেয়ো না আমায় ।
যেদিন তোমার মনের চাতক পাখিটা
মুক্ত হয়ে উড়বে,
ওই সাদা মেঘেদের দলে-
তুমি মনে রাখবে তো আমায়!
গুটিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত
শামুকের মতো
হয়তো খোলসবন্দি হবো শীঘ্রই!
সেদিন
তুমি ভুলে যাবে নাতো আমায়?

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১৬)

ভালবাসার সময় তো নেই 
         – রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

ভালবাসার সময় তো নেই
ব্যস্ত ভীষন কাজে,
হাত রেখো না বুকের গাড় ভাজে।

ঘামের জলে ভিজে সাবাড়
করাল রৌদ্দুরে,
কাছএ পাই না, হৃদয়- রোদ দূরে।

কাজের মাঝে দিন কেটে যায়
কাজের কোলাহল
তৃষ্নাকে ছোয় ঘড়ায় তোলা জল।

নদী আমার বয় না পাশে
স্রোতের দেখা নেই,
আটকে রাখে গেরস্থালির লেই।

তোমার দিকে ফিরবো কখন
বন্দী আমার চোখ
পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২১

কবিতা (১৭)

 তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা 
                          – শহীদ কাদরী

শুধু একটি বার বল ভালবাসি
তোমাকে আর কোনদিন ভালবাসতে হবে না।
মরুভূমির তপ্ত বালিতেও পা দিতে হবে না।
আমার জন্য তোমকে নিশি রাতে পা ভিজাতে হবে না।
আকাশ বাতাস শুনুক তোমার প্রতিধ্বনি।
সবাই জানুক কেউ আমাকে ভালবেসেছিল।
আমার হৃদয়ের ডাকে কেউ সাড়া দিয়েছিলো।
শুধু এতটুকুই আমি চাই, এর চেয়ে বেশি চাই না।
কাছে আস বা না আস, তাতে আমার কোন আপত্তি নেই।
হৃদয়কে না হয় একটি বার হলেও সান্তনা দিতে পারব
কেউতো অন্তত একটি বার হলেও প্রাণের ছোয়া দিয়েছিল।
কয়েক সেকেন্ড এর জন্য হলেও শুকিয়ে যাওয়া নদীতে
আবার ঝড়ের বেগে অশ্রুর বন্যা বয়েছিল।
শুধু এতটুকুই আমি চাই, এর চেয়ে বেশি চাই না।
এর জন্য তুমি কি চাও?
হয়তোবা আমি তোমাকে আকাশের চাঁদটি এনে দিতে পারবোনা
পূর্ব দিকে উঠা সূর্যটিকেও হাতে তুলে দিতে পারবোনা।
কিন্তু পারবো তোমার জন্য আমি রজনীর পর রজনী জেগে থাকতে
পারবো আজীবন তোমার জন্য অপেক্ষা করতে।
হয়তো আমার এই শুন্য হৃদয়ে এক সময় কেউ স্থান করে নিবে
কিন্তু তুমিতো আর আমার হলে না।
কি হবে ভরে এই শুন্য হৃদয় ?
আমি তো চাইনি অন্য কেউ এসে আমার হৃদয়ে গোলাপ ফুটাক
পোড়া মন আবার সতেজ হয়ে উঠুক।
আমি চেয়েছি শুধু তোমার মুখ থেকে একটি বার হলেও
প্রতিধ্বনি হয়ে বেজে উঠুক একটি শব্দ “ভালবাসি”
শুধু এতটুকুই আমি চাই, এর চেয়ে বেশি চাই না।
কবিতা (১৮)

যদি ভালবাসা পাই 
                  – রফিক আজাদ

যদি ভালবাসা পাই আবার শুধরে নেব
জীবনের ভুলগুলি
যদি ভালবাসা পাই ব্যাপক দীর্ঘপথে
তুলে নেব ঝোলাঝুলি
যদি ভালবাসা পাই শীতের রাতের শেষে
মখমল দিন পাব
যদি ভালবাসা পাই পাহাড় ডিঙ্গাবো
আর সমুদ্র সাঁতরাবো
যদি ভালবাসা পাই আমার আকাশ হবে
দ্রুত শরতের নীল
যদি ভালবাসা পাই জীবনে আমিও পাব
মধ্য অন্তমিল।

কবিতা (১৯)

প্রেমের মায়াজাল

বাতাসে ভেসে বেড়ায় প্রেম প্রেম গন্ধ,
ভাবনাতে শিহরিত – আছে যত রন্ধ্র।
নয়নে আঁকা তোর প্রেমময় ছবিটা,
শব্দের মালা গেঁথে লিখি আমি কবিতা।

ছন্দে ছন্দে আমি তোকে বলে যাই,
জুড়ি আমাদের যেন- কৃষ্ণ আর রাই।
সাতজন্ম তোর রাখবো খেয়াল,
তোর প্রেম আমার কাছে যেন মায়াজাল।

অভিমানে ভারি যদি হয় তোর মুখটা,
হাসি ঠিকই আনবো; পেড়িয়ে ঝড়-ঝাপটা।
অভিযোগ খুজতে হাঁপাবে তোর জান,
সুযোগতো দেবোনা থাকতে এ প্রান।

কবিতা (২০)

প্রিয়তমা

হাসির ঝঙ্কার তোর মুগ্ধতা ছড়াই
শতগুনে তোর করা সাজে বড়াই
কঙ্কন তোর যখন তোলে ঝঙ্কার-
হৃদয় আমার যেন তৃষ্ণিত কঙ্কার।

আমি তোর রূপে মজে থাকি
কল্পনাতে শুধু তোর ছবি আঁকি,
কন্ঠ যেন তোর তোলে কলতান
গিটারেতে তুলি সুর, বাধি কিছু গান।

দৃষ্টি যেন তোর বিধে হৃদয়ে
নিজেকে খুঁজে ফিরি যেন হারিয়ে,
তোর পদধ্বনি বারায় হৃদকম্পন
অনুভূতি লুকাতে মোর কত না যতন।

প্রিয়তমা, সত্যি বলছি শোন
তোকে চাই আমার আজীবন,
ফিরিয়ে দিসনা আমায় আজ
হৃদয়ে তোর আমি করতে চাই রাজ।

ভালোবাসি আমি তোকে প্রাণাধিক
সুখে রাখবো আমি তোকে ঠিক,
বাড়িয়ে দে প্রিয়া হাত,
তোর সামনে আমি কিস্তিমাত।

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

বউকে নিয়ে রোমান্টিক কবিতা

অনেকেই তাদের ভালোবাসার মানুষকে পাঠানোর জন্য বিভিন্ন রকমের রোমান্টিক কবিতা খুজে থাকে। তাই এখানে আমরা একটি আপনাদের জন্য অনেক সুন্দর রোমান্টিক কবিতা শেয়ার করলাম। আশা করি এই রোমান্টিক কবিতা টি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে এবং আপনি চাইলে আপনার ভালোলাগার মানুষটিকে পাঠাতে পারেন।

হাত বাড়িয়ে ছোঁয়ার সুযোগ কোথা !
তাই ভরসা রাখি মনে,
নওমী তুমি যেথায় থাকো,
যে গৃহকোণে ।
হৃদয় দিয়ে হৃদয় ছোঁয়ার সেই সে অনুভুতি
আমার ভেতর নিত্য এসে করে স্তুতি।
তুমিও কি সেই সুখের মালকিন হতে চাও?
আমার মত করেই তবে আমায় খুজে নাও।
ইচ্ছে হলেই পারবে ছুঁতে
মন বাড়াবে যেই,
দেখবে তখন পরম সুখে
হৃদয়টা ভরবেই ।।

মাঝে মাঝে ভীষণ ইচ্ছে হয় প্রেমে পড়তে,
একটু আধটু প্রেম করতে,
যদিও প্রেম কিভাবে করতে হয়,এটাই বোধে আসেনা আমার..

একাকীত্ব হঠাৎ করে যখন নিজেকে গ্রাস করে,
চারদিকের কোলাহলেও নিস্তব্ধ মনে হয় নিজেকে,
মনে হয় কেউ এসে ভালবাসা দিক হৃদয় নিংড়ে..
প্রেম নয়, একটা প্রকৃত সঙ্গের জন্য ছটফট করে মন,
হাসি দিয়ে কান্না দিয়ে হৃদয়টা ভেঙেচুড়ে করবে জ্বালাতন…

ঠোঁট নিয়ে রোমান্টিক কবিতা

প্রত্যেক পুরুষই তার বউয়ের ঠোঁট ভালোবাসি। এজন্য তারা মুগ্ধ হয়ে তার বউয়ের ঠোঁট নিয়ে রোমান্টিক কবিতা লিখতেন বা তার বউকে কবিতা শোনাতে পছন্দ করে থাকেন। আপনি যদি ঠোঁট নিয়ে রোমান্টিক কবিতা করে থাকেন তাহলে এখান থেকে আপনি তা সংগ্রহ করতে পারবেন। ঠোঁট নিয়ে এই কবিতাগুলো আপনার বউকে শোনাতে পারেন এটা আপনার বউ আপনার প্রতি অনেক সন্তুষ্ট হবে।

লাল ঠোঁট
– ফাইয়াজ ইসলাম ফাহিম
তোমার লাল ঠোঁট জ্বালাচ্ছে দারুণ
লাল ঠোঁটের ছোঁয়ায় নিবারণ করবে কি আমার শরীরের আগুন!
তোমার লাল ঠোঁট ডাকছে
তোমার কাছে যাওয়ার আহ্বান করছে?
.
যাব কি পরী তোমার কাছে
দিবে কি লাল ঠোঁটের উষ্ণ চুম,
কষ্ট পাচ্ছি বড্ড
তোমার ঠোঁটের উষ্ণ ছোঁয়ায়
ফুটাতে চাই এ মনে ভালবাসার পদ্ম।
.
তোমার লাল ঠোঁট ভয়াবহ
শরীরের সৃষ্টি করেছে তাপদাহ,
হে পরী তোমার লাল ঠোঁট ভীষণ দিচ্ছে যাতনা
তোমার লাল ঠোঁট ছুঁইতে চাই একটু ভালবাস না?

শেষ কথা

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কবিতা গুলো পড়ার জন্য।  আশা  করি সবগুলো কবিতাই আপনার পছন্দ হয়েছে।  এবং কবিতাগুলো আপনার প্রিয়জনের কাছে শেয়ার করেছেন।  আজকের ভালোবাসার রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ নিয়ে ব্লগ টি কেমন হয়েছে তা অবশ্যই নিচের কমেন্ট বক্সে জানাবেন।  আমাদেরকে উৎসাহ প্রদান করে পাশেই থাকবেন যাতে আমরা পরবর্তীতে আপনাদের জন্য আরো বিভিন্ন রকম কবিতাসংগ্রহ নিয়ে হাজির হতে পারি।  ধন্যবাদ

আরও দেখুনঃ

বাংলা রোমান্টিক কবিতা সংগ্রহ ২০২২

বাবা দিবস নিয়ে স্ট্যাটাস ২০২২

ভালবাসার মানুষকে প্রপোজ করার কবিতা ও মেসেজ

চুল নিয়ে রোমান্টিক কবিতা ও উক্তি

প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক কথা ও কবিতা

প্রেমিকার জন্য রোমান্টিক কথা ও কবিতা

স্ত্রীকে খুশি করার রোমান্টিক মেসেজ ও উপায়

বউকে নিয়ে রোমান্টিক কবিতা, উক্তি, স্ট্যাটাস ও বাণী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *