জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি সংগ্রহ ২০২২ – PDF

বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক দের জন্য তাদের জন্ম নিবন্ধন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাই আমরা আমাদের সন্তান জন্মের পর পরই এই জন্ম নিবন্ধন চেক করে থাকি। সাধারণত ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা কার্যালয় থেকে এই সনদ করতে হয় কিন্ত অনেকসময় দেখা যায় সেখানে অধিক ভিড় থাকে এবং সময় সাপেক্ষ বিষয় হয়ে যায় এজন্য অনেকেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করতে ইচ্ছুক তাই আজকের পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে দেখা তো চলেছি কিভাবে আপনি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি সংগ্রহ করবেন।

কিন্তু এটি বলাবাহুল্য যে অনলাইন থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন না এটি শুধুমাত্র একটি সৎ হবে। তবুও এই অনলাইন জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে আপনি অনেক ধরনের কাজ সম্পাদন করতে পারবেন দেখা যায় অনেক সময় আমাদের অরিজিনাল জন্ম সনদ হারিয়ে যায় সেক্ষেত্রে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্মতারিখ এর সাহায্যে অনলাইন থেকে একটি দুপ্লিকেট কঁপি সংগ্রহ করতে পারবেন।

আমরা লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই ইন্টারনেটে সার্চ করতেছে যে অনলাইন থেকে কিভাবে তাদের জন্ম সনদ সংগ্রহ করবে। আপনি যদি অনলাইনে এ বিষয়ে খুঁজে থাকেন তাহলে এই মুহূর্তে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন কারণ আমরা এখন আপনাদের সাথে ঢাকাতে চলে এসেছে কিভাবে আপনি খুব সহজে অনলাইন থেকে আপনার জন্ম নিবন্ধন টি খুব সহজে সংগ্রহ করবেন। তাহলে চলুন সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ি এবং অনলাইন থেকে জন্ম নিবন্ধনের পিডিএফ ফাইলটি সংগ্রহ করে নিন।

জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি সংগ্রহ 

আমাদের আজকের পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে কিভাবে আপনি জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি সংগ্রহ করবেন। আমরা লক্ষ্য করেছি যে অনেক লোকজন তাদের এই জন্ম নিবন্ধন টি সংগ্রহ করার জন্য ইন্টারনেটে উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছেন। আপনি খুব সহজেই ল্যাপটপ বা আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের সাহায্যে কিছু ধাপ অনুসরন করলেই খুব সহজেই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন। আমরা নিচের অংশে ধাপে ধাপে সকল প্রক্রিয়া টি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। তাহলে চলুন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে এখনই জন্ম সনদ সংগ্রহ করে ফেলি।

  • প্রথমে,অনলাইন জন্ম নিবন্ধন তথ্য ব্যবস্থা বা Online BRIS ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করতে হবে।
  • ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশের পর একটি ওয়েবপেজ দেখতে পাবেন। যা দেখতে এই রকম হবে।
  • আপনার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে প্রথম খালি বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই করতে চান। তারপর জন্ম নিবন্ধন সনদ এ থাকা ১৭ ডিজিটের নাম্বার প্রদান করুন।
  • দ্বিতীয় বক্সে যার জন্ম নিবন্ধন সনদে থাকা জন্ম তারিখ প্রদান করুন।
  • আর কারো জন্ম তারিখ যদি ১৯৯০ সালের জানুয়ারীর ১ তারিখ হয় তাহলে দ্বিতীয় বক্সটিতে (1990-01-01) এভাবে লিখতে হবে।
  • দুইটি বক্সেই সঠিক তথ্য প্রদান করা হয়ে গেলে ভেরিফাই (Verify) – তে ক্লিক করতে হবে।
  • ভেরিফাই (Verify) – তে ক্লিক করার পর যার জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন তার জন্ম নিবন্ধনে থাকা সকল তথ্যগুলো স্ক্রিনে প্রদর্শিত হবে।
  • প্রদর্শিত তথ্যগুলো সঠিক কিনা তা যাচাই করে নিতে হবে। আর যদি ভেরিফাই (Verify) – তে করার পর Matching Birth Records Not Found লেখা আসে তাহলে উল্লিখিত বক্সে দুইটিতে প্রদত্ত জন্ম নিবন্ধন নাম্বার বা জন্ম তারিখ যেকোনো একটিতে ভুল দেয়া হয়েছে।

উল্লেখিত পদ্ধতি সঠিকভাবে অনুসরণ না করলে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধনের অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে পারবেন না।

অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই

অনেক সময় আমরা জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করার পর কিছু ত্রুটি বা দেখতে পাই। এসময় অনেকটা চাপের মুখে পড়তে হয়। এজন্য দয়াকরে জন্মনিবন্ধন সাবমিট করার আগে সকল তথ্য গুলো ভালভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। আপনি ইচ্ছা করলে নিজেই আপনার হাতের মোবাইল বা ল্যাপটপ কম্পিউটারের সাহায্যে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করতে পারবেন। এই অনলাইন নিবন্ধন যাচাই করার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে জন্ম সনদ তৈরীর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে। ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর নির্দিষ্ট স্থানে আপনার সঠিক জন্ম নিবন্ধন নাম্বার সহ আপনার জন্ম তারিখ প্রবেশ করাতে হবে। তারপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করলে প্রদর্শিত স্ক্রিনে আপনার সকল তথ্য দেখাবে। সেখান থেকে প্রতিদিন তথ্য আপনি খুব মনযোগ সহকারে দেখবেন যে কোথাও ভুল আছে কিনা।

জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে লাগে

আপনি কি জানেন জন্ম নিবন্ধন কি কি কাজে আসতে পারে? আপনি যদি এ বিষয়ে জেনে না থাকেন তাহলে নিচের দেওয়া তালিকাটি অবশ্যই অবশ্যই দেখার অনুরোধ রইলো। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে সরকারি এবং বেসরকারি অনেক কাজেই এই অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কাজে আসতে পারে।

  • জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তি।
  • বিবাহ নিবন্ধন।
  • ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু।
  • ভোটার তালিকা প্রণয়ন।
  • ব্যাংক হিসাব খোলা।
  • পাসপোর্ট ইস্যু।
  • গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি।
  • টিআইএন বা ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার প্রাপ্তি।
  • ঠিকাদারি লাইসেন্স প্রাপ্তি।
  • ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি।
  • বাড়ির নকশা অনুমোদন প্রাপ্তি।
  • গাড়ির রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্তি।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
  • আমদানী ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি।
  • সরকারী, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ।
  • জমি রেজিস্ট্রেশন।

এছাড়াও আরও অনেক কাজে লেগে থাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ।

১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই

বর্তমানে যে সকল জন্ম সনদ তৈরি হচ্ছে সে সকল সনদ গুলো সাধারণত 17 ডিজিটের হয়ে থাকে। কিন্তু এর আগে সাধারণত 13 বা ১৬ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নাম্বার হয়ে থাকতো। এর জন্য যাদের জন্ম নিবন্ধন 16 ডিজিটের রয়েছে তারা কিভাবে 16 ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন এ সম্পর্কে জানতে ইচ্ছুক হয়েছেন। তাই এখন আমরা আপনাদের সাথে এই জন্ম নিবন্ধন যাচাই প্রক্রিয়া শেয়ার করব।

১৬ ডিজিটের জন্য নিবন্ধন যাচাই করার জন্য নিবন্ধন নম্বরের শেষ ৫ ডিজিটের পূর্বে একটি (0) যুক্ত করে ১৭ ডিজিট করতে হবে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন- জন্ম নিবন্ধন ১৬ ডিজিট থেকে ১৭ ডিজিট করার নিয়ম।

পূর্বে জন্ম নিবন্ধনগুলো প্রথমে হাতে লেখা ও পরে অনলাইন ডাটাবেইজে নেয়া হয়। হাতে লেখা জন্ম নিবন্ধনগুলো ১৩/১৬ ডিজিটের ছিল। বর্তমানে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ মাথা রেখে এটিকে ১৭ ডিজিটে রুপান্তর করা হয়। তাছাড়া নিবন্ধন তথ্যসমূহ সম্পূর্ণ অনলাইন বেইজড করা হয়েছে। তাই যদি আপনার নিবন্ধন নম্বর ১৬ ডিজিট হয়ে থাকে, এর ১৭ ডিজিট নম্বর ও আপডেটেড ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন কার্ড সংগ্রহ করে নিন।

সর্বশেষ কথা

আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা আজকে আপনাদের সাথে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি সংগ্রহ করার প্রক্রিয়াটি শেয়ার করেছি। আশাকরি ইতোমধ্যে আপনারা আমাদের দেখানোর পদ্ধতি অনুসরন করে খুব সহজেই আপনার জন্ম সনদ অনলাইন কপি পিডিএফ আকারে সংগ্রহ করতে পেরেছেন। কোন কারণে যদি আপনি এই সনদ টি এখনও সংগ্রহ করতে না পেরে থাকেন তাহলে নিচের দেওয়া কমেন্ট বক্সে আমাদেরকে অবশ্যই জানাবেন। আমরা আপনার এই সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *