ইন্টারনেট কী, ইতিহাস, ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানুন

ইন্টার কানেক্টেড নেটওয়ার্ক এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ইন্টারনেট।সারা বিশ্বের প্রায় তিন বিলিয়ন মানুষ এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন। ইন্টারনেট এমন একটি টেকনোলজি যা এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে সাথে অতি সহজেই কানেক্টেড করা যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ইউটিউব ফেসবুকের মতো জনপ্রিয় সকল সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি।  ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে সহজ থেকে সহজতর করে তুলেছে।  সকালবেলার গুড মর্নিং থেকে শুরু করে রাত্রের গুড নাইট পর্যন্ত আমাদের জীবনের যাবতীয় কাজ আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করে থাকি।

তাই আমরা আজকের আমাদের এই পৃষ্ঠায় ইন্টারনেট সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য জানতে চাইছি।  ইন্টারনেট কি ইন্টারনেট কত সালে এবং কে আবিষ্কার করেন কত সালে এবং কোন প্রতিষ্ঠান সর্বপ্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার করে। বাংলাদেশ ও ইন্ডিয়াতে ইন্টারনেটের ইতিহাস এবং কিভাবে ব্যবহার শুরু হয় এ সম্পর্কে সকল বিস্তারিত তথ্য আমাদের আজকের এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।  সুতরাং আজকের পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে করা হয়েছে। আশা করি আপনারা সম্পূর্ণ পোষ্টটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

ইন্টারনেট কী

অন্তর্জাল বা ইন্টারনেট হলো সারা পৃথিবী জুড়ে বিস্তৃত, পরস্পরের সাথে সংযুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং যেখানে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকল নামের এক প্রামাণ্য ব্যবস্থার মাধ্যমে ডেটা আদান-প্রদান করা হয়। ইন্টারনেট হচ্ছে ইন্টারকানেক্টেড নেট্ওয়ার্ক(interconnected network) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বিশেষ গেটওয়ে বা রাউটারের মাধ্যমে কম্পিউটার নেটওয়ার্কগুলো একে-অপরের সাথে সংযোগ করার মাধ্যমে গঠিত হয়। ইন্টারনেটকে প্রায়ই নেট বলা হয়ে থাকে। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন ইন্টারনেট কী?

ইন্টারনেট আবিষ্কারের ইতিহাস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর গবেষণা সংস্থা অ্যাডভান্সড রিসার্চ প্রজেক্টস এজেন্সি বা আরপা (ARPA) সেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এটি মূলত ১৯৬০-এর দশকে করা হয়েছিল। এই এস কালার ব্যবস্থাটি মূলত প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতিতে তৈরি করা হয়েছিল এজন্য যাকে আরপানেট নামে নামকরণ করা হয়েছিল। পরবর্তীতে .১৯৮৯ সালে আইএসপি দ্বারা এই ইন্টারনেটের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। বলাবাহুল্য যে ১৯৯০ এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০ সালের পরবর্তী সময়ের দিকে বিশেষ করে পশ্চিমা বিশ্বে ইন্টারনেট এর ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে।

ইন্টারনেট এর ব্যবহার

বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।  আমরা আমাদের দৈনন্দিন কার্য সম্পাদনের জন্য ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে থাকি।  পড়ালেখা থেকে শুরু করে বড় বড় গবেষণার কাজে এবং যোগাযোগের কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার হয়ে থাকে।  ইন্টারনেটের কারনে আমরা এখন ঘরে বসেই বিশ্বের যে কোন জায়গা সংবাদ আমাদের কাছে অতি দ্রুত পৌঁছে যায়।  এছাড়া অনলাইনে কেনাকাটা করার জন্য আমরা ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে থাকি। বর্তমানে প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের ব্যবহার প্রসার পেয়েছে।  এবং কি ছাত্রছাত্রীরা এখন ঘরে বসে অনলাইনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারে। 

আমাদের বাংলাদেশেও ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।  বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখন তার নিজ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন সেতু নির্মাণ ইত্যাদি উদ্বোধন করে থাকেন।  আপনি যদি ইন্টারনেটের ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চান তাহলে নিচের প্রশ্নগুলো পড়ার অনুরোধ রইল।

ইন্টারনেটের আদি অবস্থা কি

সর্বপ্রথম 950 সালে ইন্টারনেট আবিষ্কারের কথা মাথায় আসে।  তখন ইন্টারনেটের গতি ছিল না।  ইন্টারনেট অনেক ধীর গতির ছিল এজন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করে তেমন কোনো সুফল আসেনি।  কিন্তু আস্তে আস্তে এই ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধির চেষ্টা চলতে থাকে।  পরবর্তীতে বর্তমান বিশ্বে এখনো পাঁচজন মত অতি দ্রুত গতির ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারতেছি।  ইন্টারনেট আবিষ্কারের আগে মানুষের জীবন যাত্রার মান অনেক নিম্নমানের ছিল।  তারা যোগাযোগের জন্য ইন্টারনেট এর সুযোগ সুবিধা পেত না।

বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ইতিহাস

বাংলাদেশে সর্বপ্রথম হাজার 993 সালের শেষের দিকে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু হয়ে থাকে।  এই সালে বাংলাদেশের স্থানীয় কিছু ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী সংস্থা বুলেটিন বোর্ড সিস্টেম পদ্ধতিতে ডায়ালআপ এর মাধ্যমে সর্বপ্রথম ইমেইল ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।  কিন্তু এক্ষেত্রে 500 এর অধিক ব্যবহারকারী এই সিস্টেম ব্যবহার করতে পারত না।

 পরবর্তীতে 995 সালে অফলাইনে ইমেইলের মাধ্যমে বাংলাদেশ সীমিত আকারে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু করা হয়।  সর্বশেষ 996 সালে আমাদের বাংলাদেশে প্রথম ইন্টারনেট এর জন্য বিচার স্থাপন করা হয় এবং মোটামুটি অনলাইন ইন্টারনেট সংযোগের বিস্তৃতি ঘটে।  বাংলাদেশের সর্ব প্রথম সাইবার ক্যাফে হাজার 999 সালে চালু করা হয়।

শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহার

বর্তমানে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের বহুল ব্যবহৃত হয়ে থাকে।  ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরে বসেই তাদের শিক্ষকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ক্লাস করতে পারে।  যেমন ঘটমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।  এ সময় অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন ভিডিও কলের মাধ্যমে পড়ালেখার সুযোগ পেয়েছে।  এটি মূলত ইন্টারনেটের কারনে সম্ভব হয়েছিল।  এছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন প্রশ্নের সমাধান অতিদ্রুত খুঁজে বের করা যায়।  শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাড়ির কাজ সব ধরনের কার্যাদি ইন্টারনেটের মাধ্যমে সব করতে পারে।

শেষ কথা

সম্পুর্ন পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।  আশা করি আমাদের এই আজকের পোস্ট হতে আপনি ইন্টারনেট কী ও  ইন্টারনেট সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পেরেছেন।  দয়া করে পোষ্টটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ করে দিন।  আপনার যদি এই ধরনের পোস্ট ভালো লেগে থাকে তাহলে আমাদের সাথে থাকার অনুরোধ রইল আমরা ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য আরো এরকম সুন্দর সুন্দর তথ্যবহুল পোস্ট নিয়ে হাজির হব।

best swiss https://replicaiwc.ru artists hold amazing perspective and also abundant creativeness.https://dragxvape.com for sale is the perfect dexterity most typically associated with both, mental faculties also body.the best wellreplicas in the world qualified a watchmaker to use decade.replicas relojes for sale servers that modern society about objectives.ceasuri replica from us are excellent in quality and craftsmanship.https://omega.to rolex signifies that 21st century geneva loft faconnier watchmaking energy.give you the biggest scale of https://www.orionvape.com.satisfy the sleep and needs most of them. people today on earth may possibly be the quest for high quality https://www.tomtops.ru/.the tasks are the functions involving rolex numberone.to rimowa replica.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *