আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা, আশা করি সকলেই অনেক ভালো আছেন। প্রত্যেক পিতা তার সন্তানকে অনেক অনেক ভালো বাসেন। তাই প্রত্যেকটি পিতা চেষ্টা করে তার সন্তানকে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য। আজকে আমরা ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশ গুলো কি কি হতে পারে তা জানব।
এখানে আমরা প্রায় বৃষ্টি মত উপদেশ শেয়ার করব। যা একজন আদর্শ বাবা তার ছেলেকে শিক্ষা হিসেবে উপদেশ দিতে পারেআপনি যদি এ সকল উপদেশ খুঁজে থাকেন তাহলে আমাদের এই পোস্ট হতে তা সংগ্রহ করতে পারেন। তাহলে চলুন আজকের পোস্টটি শুরু করি।
ছেলেকে দেওয়া একজন আদর্শ বাবার উপদেশ
প্রত্যেক পিতা-মাতা তার সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে ইচ্ছুক। আপনি যদি আপনার সন্তানকে উপদেশ দেওয়ার মতো কিছু উক্তি রোজা থাকেন। তাহলে আমাদের পোস্ট এর এই অংশ থেকে প্রায় ২০ টির মতো উপদেশ খুঁজে পাবেন। যা শিক্ষা হিসেবে আপনার সন্তানকে উপদেশ দিতে পারেন।
১. জুতা সেলাই বা রং করতে চাইলে মেরামতকারীর দোকানের সামনে পা বাড়িয়ে দিওনা, বরং জুতাটা খুলে নিজে একবার মুছে দিও।
২. কখনও কাউকে কামলা, কাজের লোক বা বুয়া বলে ডেকোনা। মনে রেখো তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদেরকে সম্মান দিয়ে ডেকো।
৩. বয়স, শিক্ষা, পদ বা পদবীর দিক দিয়ে কেউ ছোট হলেও কখনও কাউকে ছোট করে দেখোনা। নইলে তুমি ছোট হয়ে যাবে।
৪. পড়াশুনা করে জীবনে উন্নতি করো, কিন্তু কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৫. কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেওনা, সে লজ্জা পেতে পারে।
৬. সব সময় পাওয়ার চেয়ে দেয়ার চেষ্টা করো বেশি । মনে রেখো, প্রদানকারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৭. এমন কিছু করোনা যার জন্য তোমার এবং তোমার পরিবারের উপর আঙুল ওঠে।
৮. ছেলে হয়ে জন্ম নিয়েছো, তাই দায়িত্ব এড়িয়ে যেওনা।
৯. তোমার কি আছে তোমার গায়ে লেখা নেই। কিন্তু তোমার ব্যবহারে দেখা যাবে তোমার পরিবার কোথায় আছে।
১০. কখনও মার কথা শুনে বউকে এবং বউয়ের কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। কাউকে ফেলতে পারবে না।
১১. কারও বাসায় নিমন্ত্রন খেতে গেলে বাসায় দু-মুঠো ভাত খেয়ে যেও। অন্যের পাতিলের ভাতের আশায় থেকো না।
১২. কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করো না। কেউ খাবার ইচ্ছে করে অস্বাদ করার চেষ্টা করে না।
১৩. বড় হবার জন্য নয়, মানুষ হবার জন্য চেষ্টা করো।
১৪. মুরুব্বি ও গুরুজনদের এতটা সম্মান দিও, যতটুকু সম্মান তোমার বাবা-মাকে দাও। এবং তাদের প্রতি এমন আচরন করো, যাতে তারা তোমাকে মন থেকে দোয়া করে।
১৫. সব সময় ভদ্র ও নম্রভাবে চলো এবং কথা বলো। কিন্তু অন্যায়ের সাথে আপোষ করোনা।
১৬। কারো কান কথায় কান দিওনা। এতে করে বড় ধরনের বিপত্তি ও ঝগড়ার সৃষ্টি হতে পারে।
১৭। অতি তাড়াতাড়ি বড় ও বিত্তশালী হওয়ার চেষ্টা করো না। এতে করে তোমার অতি তাড়াতাড়ি কুফলও বয়ে আসতে পারে।
১৮। কখনো ধৈর্য্য ও মনোবল হারাবে না। মনে রেখ, ধৈর্য্যশীলদের আল্লাহ ভালোবাসেন।