আজকে 15 ই আগস্ট, বাঙালি জাতি এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে চিরতরে হারায়। ১৯৭৫ সালের 15 ই আগস্ট আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু সহ তার সপরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহানায়ক। এজন্য তার মৃত্যুতে সারা বাংলাদেশে মৃত্যুর ছায়া ঘিরে ফেলে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে প্রতি বছর এই দিনে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত করা হয়।
এই দিনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং সকলে কালো ব্যাজ পরিধান করে জাতির জনক শেখ মুজিবকে সম্মান প্রদর্শন জানায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য প্রতিবছর ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উদযাপন করে। এছাড়াও এই দিনটি উপলক্ষে বিভিন্ন মনীষীগণ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কবিতা লিখেছেন। আমরা লক্ষ্য করেছি যে আজকে শোক দিবস উপলক্ষে অনেকেই ইন্টারনেট এর সকল কবিতা খুঁজে বেড়াচ্ছে।
তাই আমরা আমাদের আজকের এই পোস্টে আপনাদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে সংগ্রহকৃত অনেক সুন্দর সুন্দর ১৫ আগস্ট শোক দিবসের কবিতা এবং ছন্দ শেয়ার করতে চলেছি। আশা করি এখানে শেয়ারকৃত সকল কবিতা এবং ছন্দ গুলি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আপনারা চাইলে এসকল কাঙ্ক্ষিত কবিতাগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার করার মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন করতে পারেন।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কবিতা
আজকে সারা বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্মরণে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এটি সারা বাংলাদেশ সরকারি ছুটির দিনও বটে। আপনি যদি 15 আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কবিতা খুঁজে বেড়ান তাহলে এই মুহূর্তে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। কেননা এখন আমরা আপনাদের সাথে অনেক সুন্দর একটি শোক দিবসের কবিতা শেয়ার করতে চলেছি। আশাকরি 15 আগস্ট নিয়ে শেয়ারকৃত এই কবিতাটি আপনার অনেক ভালো লাগবে।
এই সিঁড়ি
রফিক আজাদ
এই সিঁড়ি নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে,
সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে –
বত্রিশ নম্বর থেকে
সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে
অমল রক্তের ধারা বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে।
মাঠময় শস্য তিনি ভালোবাসতেন,
আয়ত দু’চোখ ছিল পাখির পিয়াসী,
পাখি তাঁর খুব প্রিয় ছিল –
গাছ-গাছালির দিকে প্রিয় তামাকের গন্ধ ভুলে
চোখ তুলে একটুখানি তাকিয়ে নিতেন,
পাখিদের শব্দে তাঁর, খুব ভোরে, ঘুম ভেঙে যেত।
স্বপ্ন তাঁর বুক ভরে ছিল,
পিতার হৃদয় ছিল, স্নেহের-আর্দ্র চোখ –
এ দেশের যা-কিছু তা হোক না নগণ্য, ক্ষুদ্র
তাঁর চোখে মূল্যবান ছিল –
নিজের জীবনই শুধু তাঁর কাছে খুব তুচ্ছ ছিল;
স্বদেশের মানচিত্র জুড়ে পড়ে আছে
বিশাল শরীর …
তাঁর রক্তে এই মাটি উর্বর হয়েছে
সবচেয়ে রূপবান দীর্ঘাঙ্গ পুরুষ
তাঁর ছায়া দীর্ঘ হতে হতে
মানচিত্র ঢেকে দ্যায় সস্নেহে আদরে
তাঁর রক্তে প্রিয় মাটি উর্বর হয়েছে –
তাঁর রক্তে সবকিছু সবুজ হয়েছে।
এই সিঁড়ি নেমে গেছে বঙ্গোপসাগরে,
সিঁড়ি ভেঙে রক্ত নেমে গেছে –
স্বপ্নের স্বদেশ ব্যেপে
সবুজ শস্যের মাঠ বেয়ে
অমল রক্তের ধারা বয়ে গেছে বঙ্গোপসাগরে।
জাতীয় শোক দিবসের কবিতা
15 ই আগস্ট কে বাংলাদেশ জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ১৯৭৫ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে গুলিবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়। আজকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আপনি যদি কবিতা খুঁজে থাকেন তাহলে এখান থেকে তা সংগ্রহ করতে পারবেন। আমরা আপনাদের জন্য 15 আগস্ট এর একটি সুন্দর কবিতা শেয়ার করলাম।
পনেরো আগস্ট
সৈয়দ শামসুল হক
এখনও রক্তের রঙ ভোরের আকাশে।
পৃথিবীও বিশাল পাখায় গাঢ় রক্ত মেখে
কবে থেকে ভাসছে বাতাসে।
অপেক্ষায়- শব্দের- শব্দেই হবে সে মুখর- আরো একবার
জয় বাংলা ধ্বনি লয়ে যখন সূর্যের আলো তার
পাখায় পড়বে এসে
ইতিহাস থেকে আরো কিছুক্ষণ পরে।
মানুষ তো ভয় পায় বাক্হীন মৃত্যুকেই,
তাই ওঠে নড়ে
থেকে থেকে গাছের সবুজ ডাল পাতার ভেতরে।
পাতাগুলো হাওয়া পায়,
শব্দ করে ওঠে আর খাতার পাতাও
ধরে ওঠে অস্থিরতা- কখন সে পাবে স্বর-
জয় বাংলা ঝড়- তাকে দাও
জন্মনাভি! বোঁটা থেকে দ্যাখো আজও
অভিভূত রক্ত যায় ঝরে
বাঙালির কলমের নিবের ভেতরে।
স্তব্ধ নয় ইতিহাস! বাংলাও সুদূরগামী
তেরোশত নদীর ওপরে ওই আজও তো নৌকোয়
রক্তমাখা জনকের উত্থান বিস্ময়!
যত দিন রবে পদ্মা মেঘনা
গৌরী যমুনা বহমান,
তত দিন রবে কীর্তি তোমার
শেখ মুজিবুর রহমান।
দিকে দিকে আজ অশ্রুগঙ্গা
রক্তগঙ্গা বহমান,
নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়
জয় মুজিবুর রহমান।
১৫ আগস্ট নিয়ে কবিতা
আমরা লক্ষ্য করেছি যে অনেকেই ইন্টারনেটে 15 আগস্ট নিয়ে কবিতা খুঁজে বেড়াচ্ছে। কারণ আজকে বাংলাদেশ জাতীয় শোক দিবস উদযাপিত হচ্ছে। সুতরাং এখন আমরা আপনাদের সাথে অনেক সুন্দর বেশ কয়েকটি 15 আগস্ট নিয়ে কবিতা শেয়ার করব। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি আপনাদের সাথে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে বাছাই করে সংগ্রহকৃত কবিতা শেয়ার করার। তাই আশা করি এসকল শোক দিবসের কবিতাগুলো আপনার অনেক ভালো লাগবে।
(০১) স্বাধীনতা, এই শব্দটি কীভাবে আমাদের হলো
নির্মলেন্দু গুণ
একটি কবিতা লেখা হবে তার জন্য অপেক্ষার উত্তেজনা নিয়ে
লক্ষ লক্ষ উন্মত্ত অধীর ব্যাকুল বিদ্রোহী শ্রোতা বসে আছে
ভোর থেকে জনসমুদ্রের উদ্যান সৈকতে: ‘কখন আসবে কবি?’
এই শিশু পার্ক সেদিন ছিল না,
বৃক্ষে ফুলে শোভিত উদ্যান সেদিন ছিল না,
এই তন্দ্রাচ্ছন্ন বিবর্ণ বিকেল সেদিন ছিল না৷
তা হলে কেমন ছিল সেদিনের সেই বিকেল বেলাটি?
তা হলে কেমন ছিল শিশু পার্কে, বেঞ্চে, বৃক্ষে, ফুলের বাগানে
ঢেকে দেয়া এই ঢাকার হদৃয় মাঠখানি?
জানি, সেদিনের সব স্মৃতি ,মুছে দিতে হয়েছে উদ্যত
কালো হাত৷ তাই দেখি কবিহীন এই বিমুখ প্রান্তরে আজ
কবির বিরুদ্ধে কবি,
মাঠের বিরুদ্ধে মাঠ,
বিকেলের বিরুদ্ধে বিকেল,
উদ্যানের বিরুদ্ধে উদ্যান,
মার্চের বিরুদ্ধে মার্চ … ৷
হে অনাগত শিশু, হে আগামী দিনের কবি,
শিশু পার্কের রঙিন দোলনায় দোল খেতে খেতে তুমি
একদিন সব জানতে পারবে; আমি তোমাদের কথা ভেবে
লিখে রেখে যাচ্ছি সেই শ্রেষ্ঠ বিকেলের গল্প৷
সেই উদ্যানের রূপ ছিল ভিন্নতর৷
না পার্ক না ফুলের বাগান, — এসবের কিছুই ছিল না,
শুধু একখন্ড অখন্ড আকাশ যেরকম, সেরকম দিগন্ত প্লাবিত
ধু ধু মাঠ ছিল দূর্বাদলে ঢাকা, সবুজে সবুজময়৷
আমাদের স্বাধীনতা প্রিয় প্রাণের সবুজ এসে মিশেছিল
এই ধু ধু মাঠের সবুজে৷
কপালে কব্জিতে লালসালু বেঁধে
এই মাঠে ছুটে এসেছিল কারখানা থেকে লোহার শ্রমিক,
লাঙল জোয়াল কাঁধে এসেছিল ঝাঁক বেঁধে উলঙ্গ কৃষক,
পুলিশের অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এসেছিল প্রদীপ্ত যুবক৷
হাতের মুঠোয় মৃত্যু, চোখে স্বপ্ন নিয়ে এসেছিল মধ্যবিত্ত,
নিম্ন মধ্যবিত্ত, করুণ কেরানী, নারী, বৃদ্ধ, বেশ্যা, ভবঘুরে
আর তোমাদের মত শিশু পাতা-কুড়ানীরা দল বেঁধে৷
একটি কবিতা পড়া হবে, তার জন্যে কী ব্যাকুল
প্রতীক্ষা মানুষের: “কখন আসবে কবি?’ “কখন আসবে কবি?’
শত বছরের শত সংগ্রাম শেষে,
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অত:পর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন৷
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হদৃয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা৷ কে রোধে তাঁহার বজ্রকন্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর-কবিতাখানি:
‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম৷’
(০২) শোক দিবস
শরিফ আহমাদ
ঐতিহাসিক শোক দিবসের
রক্ত ঝরা গল্প
লিখছি ছড়ায় অল্প !
আগষ্ট মাসের পনেরো তারিখ
আধার ঘেরা রাতে
দেশদ্রোহীরা হামলা চালায়
মহান নেতার গা’তে ।
তার আরো যে স্বজন ছিলো
পায় যেখানে যাকে
হত্যা করে তাকে ।
দেশ প্রকৃতির রঙিন স্বপ্ন
শেষ করেছে তারা
ওদের একদিন বিচার হবে
কেউ পাবে না ছাড়া ।
প্রতি বছর আগষ্টের সেই
দিন করা হয় স্মরণ
বুকের রক্ত ক্ষরণ।
বঙ্গবন্ধু শোকের কবিতা
ভয়াল সেই 15 ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ তার সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আজকে সেই 15 ই আগস্ট এবং আজকে সারা বাংলাদেশে শোক দিবসের ছায়া বিরাজ করছে। অনেকেই ইন্টারনেটে বঙ্গবন্ধু নিয়ে শোকের কবিতা খুঁজে বেড়াচ্ছে। তাই এখন আমরা আপনাদের সাথে বিভিন্ন কবিদের লিখিত বঙ্গবন্ধু নিয়ে শোকের কবিতা শেয়ার করেছি।
(০১) ধন্য সেই পুরুষ
– শামসুর রাহমান
ধন্য সেই পুরুষ নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে;
ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে আসে
প্রজাপতিময় সবুজ গালিচার মত উপত্যকায়;
ধন্য সেই পুরুষ হৈমন্তিক বিল থেকে যে উঠে আসে
রঙ বেরঙের পাখি ওড়াতে ওড়াতে।
ধন্য সেই পুরুষ কাহাতের পর মই-দেয়া ক্ষেত থেকে যে ছুটে আসে
ফসলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে।
ধন্য আমরা, দেখতে পাই দূরদিগন্ত থেকে এখনো তুমি আসো,
আর তোমারই প্রতীক্ষায়
ব্যাকুল আমাদের প্রাণ, যেন গ্রীষ্মকাতর হরিণ
জলধারার জন্যে। তোমার বুক ফুঁড়ে অহংকারের মতো
ফুটে আছে রক্তজবা, আর
আমরা সেই পুষ্পের দিকে চেয়ে থাকি, আমাদের
চোখের পলক পড়তে চায় না,
অপরাধে নত হয়ে আসে আমাদের দুঃস্বপ্নময় মাথা।
দেখ, একে একে সকলেই যাচ্ছে বিপথে অধঃপাত
মোহিনী নর্তকীর মতো
জুড়ে দিয়েছে বিবেক-ভোলানো নাচ মনীষার মিনারে,
বিশ্বস্ততা চোরা গর্ত খুঁড়ছে সুহৃদের জন্যে
সত্য খান খান হয়ে যাচ্ছে যখন তখন
কুমোরের ভাঙ্গা পাত্রের মতো,
চাটুকারদের ঠোঁটে অষ্টপ্রহর ছোটে কথার তুবড়ি,
দেখ, যে কোন ফসলের গাছ
সময়ে-অসময়ে ভরে উঠেছে শুধু মাকাল ফলে।
ঝলসে-যাওয়া ঘাসের মত শুকিয়ে যাচ্ছে মমতা
দেখ, এখানে আজ
কাক আর কোকিলের মধ্যে কোনো ভেদ নেই।
নানা ছলছুতোয়
ধন্য সেই পুরুষ, যাঁর নামের ওপর রৌদ্র ঝরে চিরকাল,
গান হয়ে
নেমে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিধারা, যাঁর নামের ওপর
কখনো ধুলো জমতে দেয় না হাওয়া,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের উপর পাখা মেলে দেয় জ্যোৎস্নার সারস,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের উপর পতাকার মতো
দুলতে থাকে স্বাধীনতা,
ধন্য সেই পুরুষ যাঁর নামের ওপর ঝরে
মুক্তিযোদ্ধাদের জয়ধ্বনি।
স্বৈরাচারের মাথায় মুকুট পরাচ্ছে ফেরেব্বাজের দল।
দেখ, প্রত্যেকটি মানুষের মাথা
তোমার হাঁটুর চেয়ে এক তিল উঁচুতে উঠতে পারছে না কিছুতেই।
তোমাকে হারিয়ে
আমরা সন্ধ্যায়, হারিয়ে যাওয়া ছায়ারই মতো হয়ে যাচ্ছিলাম,
আমাদের দিনগুলি ঢেকে যাচ্ছিল শোকের পোশাকে,
তোমার বিচ্ছেদের সংকটের দিনে
আমরা নিজেদের ধ্বংসস্তূপে বসে বিলাপে ক্রন্দনে
আকাশকে ব্যথিত করে তুললাম ক্রমাগত; তুমি সেই বিলাপকে
রূপান্তরিত করেছো জীবনের স্তুতিগানে, কেননা জেনেছি –
জীবিতের চেয়েও অধিক জীবিত তুমি।
(০২)বঙ্গবন্ধুর ছড়া
শরিফ আহমাদ
বঙ্গবন্ধুর ছড়া লিখতে
ইতিহাসের পাতায় টিকতে
যেই দিয়েছি হাত,
তার কাহিনী অশ্রু ঝরায়
রাতের পরে রাত ।
আমার সাথে রাতের তারা
বন-বনানীর নিঝুম পাড়া
সবাই দিলো যোগ,
বঙ্গবন্ধুর চলে যাওয়ায়
সবার মনে শোক।
শোকের থেকে শক্তি নিয়ে
তার প্রতি প্রেম-ভক্তি নিয়ে
লিখছি ছড়া রোজ,
তার মতো এক মহান নেতা
বিশ্ব করে খোঁজ ।
শোকাবহ আগস্ট কবিতা
খুনে ফড়িং
সেই সিঁড়িতে পড়ে থাকা লাশ
আমার অনেক প্রশ্নের উত্তর !
হাতে ধরা পাইপ , কালো চশমা
সাদা পাঞ্জাবী , চেক লুঙ্গী ।
বত্রিশের সে বাড়ি , আড়াআড়ি
দে দৌড় বাঙ্গালী , ফড়িঙ মন !
শহরের দখল নেওয়া ট্যাঙ্ক
অটোমেটিক রাইফেলের
গুলি গণভবন , পাইক পেয়াদা , সরকার ,
মুয়াজ্জিনের আজান , একাকার !
সিঁড়িতে পড়ে থাকা লাশ
আমার অনেক কষ্টের উত্তর !
ঢোলের তালে নাচ
বাঁচ ময়না বাঁচ ,
যুদ্ধশেষের আগুনছোঁয়া আঁচ
জানালার ভাঙ্গা চোরা কাঁচ !
সিঁড়িতে পড়ে থাকা লাশ
দে দৌঁড় বাঙ্গালী ! ফড়িং মন ।
সর্বশেষ কথা
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের কবিতা নিয়ে লিখিত আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকের এই পোস্টে আমরা আপনাদের সাথে অনেক সুন্দর সুন্দর জাতীয় শোক দিবসের কবিতা ও 15 আগস্ট এর ছন্দ শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি ইতোমধ্যে আপনারা এসকল শোক দিবসের কবিতা ও ছন্দ গুলো সংগ্রহ করতে পেরেছেন। সুতরাং আপনার যদি এই পোষ্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে সকলের সাথে শেয়ার করার অনুরোধ রইল। যাতে অন্যরাও খুব সহজে শোক দিবসের কবিতা গুলো সংগ্রহ করতে পারে।